if you want to remove an article from website contact us from top.

    স্বামী স্ত্রী একসাথে নামাজ পড়ার নিয়ম

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে স্বামী স্ত্রী একসাথে নামাজ পড়ার নিয়ম পান।

    স্বামী

    মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়া পুরুষের জন্য আবশ্যক। বিনা কারণে ফরজ নামাজ ঘরে পড়ার সুযোগ রাখেনি ইসলাম...

    ধর্ম

    স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জামাতে নামাজ পড়তে পারবে কি?

    ইসলাম ডেস্ক

    প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০২২

    মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়া পুরুষের জন্য আবশ্যক। বিনা কারণে ফরজ নামাজ ঘরে পড়ার সুযোগ রাখেনি ইসলাম। তারপরও অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বা অজুহাতে অনেকের মসজিদে যাওয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তে চায় তবে কি জামাতে নামাজ পরতে পারবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?

    মসজিদে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায়কারীকেও অনেক সময় প্রয়োজনের খাতিরে বাড়িতে নামাজ পরতে হয়। সে সময় জামাতে নামাজ আদায় ও ফজিলত পাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামী-স্ত্রী কিংবা পরিবারের ছেলে-মেয়ে, মা-বোনদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ আছে। এমনটি নিষিদ্ধ নয়।

    বিজ্ঞাপন

    কখনো মসজিদের জামাত না পেলে সেক্ষেত্রে একাকী নামায না পড়ে বাসায় স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে জামাতে নামায পড়াই উত্তম। এক্ষেত্রে দাঁড়ানোর পদ্ধতি হল, স্ত্রী স্বামীর বরাবর হয়ে দাঁড়াবে না বরং একটু পিছনে দাঁড়াবে। আর নাবালেগ শিশু থাকলে তারা ইমামের ডান পাশে দাঁড়াবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৮৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৪৫; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৫৩)

    এ সম্পর্কে হাদিসের দিকনির্দেশনাও রয়েছে। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন-

    বিজ্ঞাপন

    أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ صَلَّى بِهِ وَبِأُمِّهِ أَوْ خَالَتِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ وَأَقَامَ الْمَرْأَةَ خَلْفَنَاরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে এবং তার মা কিংবা খালাকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তাঁর ডান পার্শ্বে দাঁড় করালেন এবং নারীদে আমাদের পেছনে দাঁড় করালেন।’ (মুসলিম ১৩৭৭)

    তাই বলে মসজিদের নামাজের জামাত তরক করে বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জামাতে নামাজ নিয়মিত করা যাবে না।  জামাতের গুরুত্বের ব্যাপারে একাধিক হাদিসের মাধ্যমে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। যেমন এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

    বিজ্ঞাপন

    مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ ‏”‏ لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلاَةُ الَّتِي صَلَّى

    ‘যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শোনা সত্ত্বেও কোনোরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামাতে নামাজ আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) নামাজ কবুল হবে না। (অর্থাৎ তার নামা্জকে পরিপূর্ণ নামাজ হিসেবে গণ্য করা হবে না)। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ওজর কী? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।’ (আবু দাউদ ৫৫১)

    জামাতের ক্ষেত্রে স্ত্রী কোথায় দাঁড়াবে?

    বিজ্ঞাপন

    তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, ইসলামি শরিয়তের বিধান। স্বামী-স্ত্রীর জামাতের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো- স্ত্রীকে স্বামী নিজের এক কাতার পেছনে দাঁড় করাবে। স্ত্রী স্বামীর বরাবর দাঁড়াবে না। হাদিসে এসেছে-

    হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘আমাদের ঘরে আমি এবং এক এতিম হরজত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে (জামাতের সঙ্গে) নামাজ পড়েছি। আর আমাদের পেছনে আমার মা উম্মে সুলাইম (ইকতিদা করেন)।’ (বুখারি)

    উল্লেখ্য যে, উম্মে সুলাইম (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাহরাম ছিলেন।

    বিজ্ঞাপন

    তবে অনেক ইসলামি স্কলার বলেছেন, যদি স্ত্রী স্বামীর পায়ের গোড়ালির পেছনে দাঁড়ায়; তাহলেই নামাজ সহিহ হবে।  এক কাতার পেছনের দাঁড়ানোর বাধ্যবাধকতা নেই। এক কথায়, স্ত্রী স্বামীর একদম সমান সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামাজ হবে না।

    মনে রাখতে হবে

    স্বামী-স্ত্রীর জামাত যেন মসজিদের জামাতের বিকল্প না হয়। মসজিদের জামাতের বিকল্প হিসাবে এ জামাত গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি কোনো কারণে বা ওজরে ঘরেই নামাজ পড়তে হয়, আর তা জামাতে পড়ে সেটা গ্রহণযোগ্য। ফরজ নামাজ ছাড়া তো আর কোনো নামাজে জামাত নেই। ফরজ নামাজ যখন ঘরে পড়ার মত কারণ ঘটে তখন স্বামী স্ত্রী মিলেও জামাত পড়া যায়। তবে, ইমাম অবশ্যই স্বামীকে হতে হবে। দুই ব্যক্তি জামাত করলে যেভাবে একই কাতারে দাঁড়ায়, স্ত্রী এভাবে দাঁড়াবে না। স্ত্রী জামাতের সময় বরাবর না দাঁড়িয়ে পেছনে দাঁড়াবে।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর স্বামী-স্ত্রীকে প্রয়োজন জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

    এমএমএস/জিকেএস

    নামাজ ইসলাম হাদিস আমল ইবাদত উপদেশ

    পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

    আরও পড়ুন  

    বিয়ের পর দম্পতির প্রথম আমল ও দোয়া

    বিয়ে

    বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর নামাজ পড়া কি আবশ্যক?

    বিবাহ

    স্ত্রী অবাধ্য হলে স্বামীর করণীয়

    ইসলাম

    স্বামী-স্ত্রী মিলনের আগে দোয়া পড়বেন কেন?

    দোয়া

    স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকলেই কি তালাক হয়ে যায়?

    বিবাহ

    হাঁটা-বসা-ঘুমের সময় স্বামী-স্ত্রী কে কোন পাশে থাকবে?

    সূত্র : www.jagonews24.com

    স্বামী

    কোনো কারণে মানুষ মসজিদে যেতে না পারলে, বাসা-ঘরে নামাজ আদায় করে। সে সময় ঘরে নিজের বউ, বোন-মা ও অন্য মাহরাম...

    স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জামাতে নামাজ পড়তে পারবেন কি?

    ধর্ম ডেস্ক

    ০৬ জুলাই ২০২১, ১২:৫৫ পিএম

    কোনো কারণে মানুষ মসজিদে যেতে না পারলে, বাসা-ঘরে নামাজ আদায় করে। সে সময় ঘরে নিজের বউ, বোন-মা ও অন্য মাহরাম নারী থাকতে পারেন। এখন কথা হলো- কেউ যদি নিজের বউ কিংবা মাহরাম কোনো নারীকে নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করে, নামাজ হবে? আর এক্ষেত্রে ঘরের নারীকে নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা জরুরি কিনা?

    পুরুষের জন্য মসজিদের জামাতে নামাজ পড়া জরুরি। বিনা কারণে ফরজ নামাজ ঘরে আদায় করা ঠিক নয়। একাধিক হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

    এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শোনা সত্ত্বেও কোনো ধরনের ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামাতে নামাজ আদায়ে বিরত থাকে; তার অন্যত্র (একাকী) নামাজ কবুল হবে না। (অর্থাৎ তার নামাজকে পরিপূর্ণ নামাজ হিসেবে গণ্য করা হবে না)। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কী? নবী (সা.) বললেন, ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫১)

    স্বামী-স্ত্রীর জামাতের বিধান-পদ্ধতি

    কখনো মসজিদের জামাত না পেলে বা অপারগতার কারণে মসজিদে যাওয়া না হলে— সেক্ষেত্রে একাকী নামাজ না পড়ে বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়াই উত্তম। (বাদায়িউস সানায়ি : ১/৩৮৫; আল-বাহরুর রায়িক : ১/৩৪৫; আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫৫৩)

    স্বামী-স্ত্রী উভয়ে জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে শরিয়তের কোনো বাধা নেই। তবে স্ত্রী স্বামীর পাশাপাশি না দাঁড়িয়ে পেছনে দাঁড়াবে। এতটুকু সম্ভব না হলে, ডান পাশে একটু পেছনে সরে দাঁড়ালেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে সমান হয়ে দাঁড়াতে পারবে না, কারণ এভাবে দাঁড়ালে উভয়ের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (রাদ্দুল মুহতার : ১/৫৭২)

    নাবালেগ ও নারীদের কাতারের অবস্থান

    সাধারণত নামাজের জামাতে কাতারবদ্ধ হওয়ার সুন্নত পদ্ধতি হলো, প্রথমে বালেগ পুরুষ দাঁড়াবে, এরপর নাবালেগ বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক দাঁড়াবে। যদি নারীরা জামাতে অংশগ্রহণ করে তারা সবার পেছনে দাঁড়াবে। (সুনানুল বাইহাকি, হাদিস নং : ৫১৬৬; হেদায়া : ১/২৩৯)

    হাদিস শরিফে এসেছে, আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে এবং তার মা কিংবা খালাকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করালেন এবং নারীকে আমাদের পেছনে দাঁড় করালেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)

    ঢাকা পোস্টের ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন : dhakapostislam@gmail.com

    নামাজ

    সূত্র : www.dhakapost.com

    স্বামী

    তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, ইসলামি শরিয়তের বিধান।  স্বামী-স্ত্রীর জামাতের ক্ষেত্রে

    স্বামী-স্ত্রীর জামাতে নামাজ আদায়ের নিয়ম

    ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

    আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭

    AddThis Sharing Buttons

    Share to Twitter Share to LinkedIn Share to WhatsApp Share to Messenger Share to Facebook Share to Copy Link

    স্বামী-স্ত্রীর জামাতে নামাজ আদায়ের নিয়ম

    নিয়মিত মসজিদে যেয়ে জামাতে নামাজ আদায়কারীকেও অনেক সময় প্রয়োজনের খাতিরে বাড়িতে নামাজ আদায় করতে হয়। আর বাড়িতে নামাজ আদায় করতে যেয়ে জামাতের ফজিলত লাভের নিমিত্তে স্বামীর জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জামাত করা ঠিক আছে।

    তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, ইসলামি শরিয়তের বিধান।

    স্বামী-স্ত্রীর জামাতের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো- স্ত্রীকে স্বামী নিজের এক কাতার পেছনে দাঁড় করাবে।

    স্ত্রী স্বামীর বরাবর দাঁড়াবে না।

    এ বিষয়ে হাদিস শরিফে আছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমাদের ঘরে আমি এবং এক ইয়াতিম হরজত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে (জামাতের সঙ্গে) নামাজ পড়েছি। আর আমাদের পেছনে আমার মা উম্মে সুলাইম (ইকতিদা করেন)। ’ –সহিহ বোখারি

    উল্লেখ্য যে, উম্মে সুলাইম (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাহরাম ছিলেন।

    অনেক ইসলামি স্কলার বলেছেন, যদি স্ত্রী স্বামীর পায়ের গোড়ালির পেছনে দাঁড়ায়; তাহলেই নামাজ সহিহ হবে।  এক কাতার পেছনের দাঁড়ানোর বাধ্যবাধকতা নেই। এক কথায়, স্ত্রী স্বামীর একদম সমান সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামাজ হবে না।

    বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

    এমএইউ/

    ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

    বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

    ইসলাম বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত

    পবিত্র শবে বরাত আজ

    পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য ও করণীয়

    ৭ মার্চ: নামাজের সময়সূচি

    ৬ মার্চ: নামাজের সময়সূচি

    সূত্র : www.banglanews24.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 22 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন