হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় পান।
রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য
রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার। আজ বিশ্ব রক্তদান দিবসে জেনে নিন রক্ত দেয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম।
রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য
সানজানা চৌধুরী বিবিসি বাংলা, ঢাকা ১৪ জুন ২০১৮
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
একজন সুস্থ নারী বা পুরুষ তিন মাস পর পর রক্ত দিতে পারবেন।
একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় কতজন মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখেন? জেমস হ্যারিসন এমন এক ব্যক্তি যিনি একাই বাঁচিয়েছেন ২০ লাখ শিশুর প্রাণ। আসলেও তাই।এতোগুলো শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে নিজের রক্ত ও রক্তের উপাদান প্লাজমা দানের মাধ্যমে।
এজন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নামও লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ৮১ বছর বয়সী মি. হ্যারিসন গত ১১ই মে এক হাজার ১৭৩ বারের মতো রক্ত দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় রক্তদানের বয়সসীমা নির্ধারিত থাকায় এটাই ছিল তাঁর সবশেষ রক্তদান।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে জরুরি অস্ত্রোপচারের কারণে ১৩ লিটার রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো মি. হ্যারিসনের। সে যাত্রায় রক্ত পেয়ে প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর।
এরপর বয়স ১৮ বছর হতেই নিয়মিত রক্তদান করতে শুরু করেন তিনি।
রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য একে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার।
রক্ত দেয়া কেন প্রয়োজন?
দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ।
তবে বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনো নগণ্য।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগের বেশি।
এছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে।
নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশিরভাগ মানুষ রক্তের জন্য নির্ভর করেন পেশাদার রক্তদাতার ওপর।
রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখ পড়ে।
এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট। এই অল্প সময়ে চাইলেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
কারা রক্ত দিতে পারবেন?
চিকিৎসকদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী-পুরুষ চাইলেই নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত দিতে পারেন।
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
রক্ত নেয়ার আগে এর সঠিক পরীক্ষা নীরিক্ষা জরুরি।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ড. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ রক্ত দিতে সক্ষম।
এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি।
এছাড়া রক্তদানের সময় রক্তদাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকতে হবে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রতি ডেসিলিটারে ১৫ গ্রাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৪ গ্রাম হওয়া দরকার।
রক্তদাতাকে অবশ্যই ভাইরাসজনিত রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হবে।
সাধারণত ৯০ দিন পর পর, অর্থাৎ তিন মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে।
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
রক্ত দেয়ার সময় শরীর থেকে ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায়।
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার পরিমাণ রক্ত থাকে। প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়।
এ কারণে রক্ত দিলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই।
রক্ত দেয়ার পর কিছুটা মাথা ঘোরাতে পারে। এটা স্বাভাবিক।
তবে এ সময় হাঁটাহাঁটি না করে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. সিরাজুল ইসলাম।
রক্তদাতা যদি ঘামতে থাকেন এবং অস্থিরতা হয়, তবে তাকে স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়।
রক্ত দেয়ার পর লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে বলে উল্লেখ করেন ড. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রক্ত দেয়ার সময় শরীর থেকে রক্তের পাশাপাশি ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায় তাই তার ক্ষয়পূরণে আয়রন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
রক্তের গ্রুপ মোট ৮ ধরণের: এবি পজিটিভ, এবি নেগেটিভ, এ পজিটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজিটিভ, বি নেগেটিভ, এবং ও পজিটিভ, ও নেগেটিভ।
ছবির ক্যাপশান,
জেনে নিন কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
দেশের বিভিন্ন ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নিয়মিত রক্ত দেয়ার কিছু উপকার রয়েছে। সেগুলো হলো:
১. এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
২. নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৩. বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।
রক্তে হিমোগ্লোবিন এর সঠিক মাত্রা কতো?
MENU
রক্তে হিমোগ্লোবিন এর সঠিক মাত্রা কতো?
Author: রক্তবন্ধু | 25 Jan 2021
শেয়ার করুন:
অনেকের ধারণা, মেয়েদের খানিকটা রক্তশূন্যতা সব সময়ই থাকে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ধারণাটা ঠিক নয়। এ কথা ঠিক, নারীদের স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম। পুরুষের রক্তের হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম। নারীদের রক্তে তা ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম। কিন্তু এই মাত্রার চেয়ে কম হিমোগ্লোবিন থাকা স্বাভাবিক নয়।
অনেকে ভাবেন, মেয়েরা মাসিক চক্রে ও সন্তান জন্মের সময় অনেকখানি রক্ত হারায়। তাই রক্তে ৯-১০ মাত্রার হিমোগ্লোবিন কোনো ব্যাপার নয়, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে (১২ গ্রাম/ডেলি) থাকা মানেই এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা। এ সমস্যার প্রতিকার দরকার।
কোনো নারীর হঠাৎ রক্তশূন্যতা ধরা পড়লে অনেকে ধরেই নেন যে মাসিকের সঙ্গে বেশি রক্ত যাচ্ছে বলে রক্তশূন্যতা হচ্ছে। এটাও ভুল ধারণা। ব্লিডিং পেপটিক আলসার, যকৃতের সমস্যা, পাকস্থলী বা অন্ত্রের কোনো ক্যানসার, পাইলসের মতো রোগ যা রক্তশূন্যতার জন্য দায়ী, তা কেবল পুরুষদের হয়, নারীদের হতে পারে না—এমন ধারণা ঠিক নয়। বিশেষ করে মধ্যবয়সী ও বয়স্ক নারীদের রক্তশূন্যতা হলে অন্যান্য জটিল রোগের ও ক্যানসারের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
গর্ভধারণকালে ও স্তন্যপান করানোর সময় আয়রনের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এই চাহিদা পূরণ না হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। অনেক সময় প্রসবে রক্তক্ষরণ এ জন্য দায়ী। তাই বলে এর কোনো চিকিৎসার দরকার নেই—এই ধারণাও ভুল। মায়ের গর্ভকালীন এনিমিয়া গর্ভস্থ শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, মায়ের হার্টেও জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই যথাযথ চিকিৎসা দরকার।
থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য জন্মগত হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি অনেকেরই থাকে। এ ধরনের রোগ শৈশবেই ধরা পড়ার কথা। কিন্তু মৃদু ত্রুটি শৈশবে ধরা না–ও পড়তে পারে। অনেক সময় গর্ভধারণকালে এই সমস্যা প্রকট আকারে ধরা পড়ে। কেননা এই সময়ই অনেকের জীবনে প্রথম হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা হয়। তাই সব এনিমিয়াই যে আয়রনের স্বল্পতার জন্য হচ্ছে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রাপুরুষঃ ১৩.৫–১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার
নারীঃ ১২–১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর(বি.দ্রঃ বাচ্চাদের সাধারণত হিমোগ্লোবিন বেশি থাকে। এর স্বাভাবিক মাত্রা 15-20 gm/dl হতে পারে। নারী বা পুরুষের সামান্য হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া মানেই রক্তস্বল্পতা কিংবা রক্তশূন্যতা মনে করে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ক্রমেই রক্তগ্রহণ করা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রেই কিছু ঔষধ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা ঠিক রাখা যায়।)
শেয়ার করুন:
অন্যান্য পোস্ট সমূহ
দুর্লভ একটি রক্তের গ্রুপ- বোম্বে
Author: রক্তবন্ধু | 29 Dec 2022
দুর্লভ রক্তের গ্রুপ বোম্বে খুব সংক্ষেপে সাধারণ ব্যাখ্যায় বোম্বে ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে ধারণা নিন। মানুষের রক্ত দেখতে লাল বর্ণের হলেও এর গঠনগত পার্থক্য আসলে...
বিস্তারিত...
রক্ত পরিসঞ্চালন নিয়ে কিছু কথা
Author: রক্তবন্ধু | 20 Dec 2022
রক্ত পরিসঞ্চালন করার একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া / বিরূপ প্রতিক্রিয়া GVHD। নিকট আত্মীয় ডোনার হলে এটা হতে পারে। মৃত্যুর হার শতকরা ৯০ শতাংশের বেশী। Delayed...
বিস্তারিত...
স্ত্রীকে রক্তদান করা যাবে কি?
Author: রক্তবন্ধু | 19 Oct 2022
ধরুন আপনার স্ত্রী রক্তশূন্যতায় ভুগছে কিংবা সন্তান জন্মদানের আগে বা পরে প্রয়োজন হলো রক্তের। আপনি আপনার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসেন। রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় বা...
বিস্তারিত...
নোটিশঃ আমাদের সাথে কাজ করতে চাইলে বা যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন 01716626487
রক্তবন্ধু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
রক্তশূন্যতা হলেই কি রক্ত দিতে হয়
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে সে অবস্থাকে রক্তশূন্যতা বলা হয়। বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে। এটি নিজে রোগ নয়; বরং অন্য রোগের উপসর্গ। তাই রক্তশূন্যতা হলে প্রথমে কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
সুস্থতা
ভালো থাকুন
ভালো থাকুন রক্তশূন্যতা হলেই কি রক্ত দিতে হয়
লেখা:ডা. ফারহানা ইসলাম, ঢাকা
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৩: ৪৪
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে সে অবস্থাকে রক্তশূন্যতা বলা হয়। বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে। এটি নিজে রোগ নয়; বরং অন্য রোগের উপসর্গ। তাই রক্তশূন্যতা হলে প্রথমে কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। এর মূল চিকিৎসা হলো এটির কারণ দূরীকরণ। রক্তের বা হিমোগ্লোবিনের বা আয়রনের অভাব পূরণ করা হলো সাময়িক একটি চিকিৎসা।
কারণ
জন্মগত রক্তরোগ, রক্তের ক্যানসার, বিভিন্ন রোগে রক্ত বেরিয়ে গেলে, কৃমি সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে।
ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের অভাবেও রক্তশূন্যতা হয়।
কোনো সময় রক্তের লোহিত কণিকা সময়ের আগেই ভেঙে যায় বলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
উপসর্গ
রক্তশূন্যতা হলে চোখের স্ক্লেরা (চোখের শ্বেতমণ্ডল), জিহ্বা, হাতের তালু ইত্যাদি ফ্যাকাশে দেখায়।
রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।
বুক ধড়ফড় করে। মাথা ঝিমঝিম করে।
তীব্র রক্তশূন্যতা হলে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে।
পরীক্ষা
রক্তের সিবিসি পরীক্ষায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম দেখায়। এরপর কারণ অনুসন্ধানে নানা ধরনের পরীক্ষা দরকার পড়ে; যেমন দেহে আয়রনের অভাব আছে কি না, মলের মাধ্যমে রক্ত যাচ্ছে কি না, অন্ত্রে বা পাকস্থলীতে কোনো ক্ষত বা ক্যানসার আছে কি না, নারীদের মাসিকের সঙ্গে বেশি রক্ত যাচ্ছে কি না বা কেন যাচ্ছে ইত্যাদি।
কখন পরিসঞ্চালন
রক্তশূন্যতা হলেই যে রক্ত দিতে হবে, তা নয়। কারণভেদে রক্ত পরিসঞ্চালন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
যদি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে যায়, রোগীর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।
অস্ত্রোপচারের আগে রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিন ৮ গ্রাম/ডিএল থাকলে সাধারণত রক্ত পরিসঞ্চালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দীর্ঘমেয়াদি রক্তশূন্যতায় হিমোগ্লোবিন ৭ গ্রাম/ডিএল হলে রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়।
কোনো কারণে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হলে বা শরীরের ৩০ শতাংশ রক্ত ক্ষরণ হলে (যেমন দুর্ঘটনায়) রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়।
রক্তের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য রক্ত ও রক্তের উপাদান আলাদা আলাদা পরিসঞ্চালন করা হয়। আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা হলে আয়রন ইনজেকশন দেওয়া যায়, এতে রক্তের অপচয় রোধ করা যায়।
সাধারণ রক্তশূন্যতা হলে রেড সেল কনসেনট্রেট ব্যবহার যৌক্তিক। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে হোল ব্লাড বা সম্পূর্ণ রক্ত দেওয়া হয়।
উপযুক্ত ডোনার বা দাতা থেকে সংগ্রহ করে ও ব্লাড ব্যাংক ফ্রিজে নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা রক্ত পরিসঞ্চালন করার উপযোগী।
ব্লাড ব্যাংক ফ্রিজ থেকে বের করার আধা ঘণ্টার মধ্যে পরিসঞ্চালন শুরু করতে হয়। সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিসঞ্চালন শেষ করতে হয়।
ডা. ফারহানা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা, ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকাসুস্থতা থেকে আরও পড়ুন
ভালো থাকুনপরামর্শরক্তচিকিৎসা
মন্তব্য করুন
ভালো থাকুন নিয়ে আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীদের এই করণীয়গুলো মেনে চলা উচিত
নারীর হরমোনজনিত সমস্যা
ঘাড়ে ব্যথা? নিজেই করুন প্রতিকার
শিশুর ভাষা শেখায় মা–বাবার করণীয়
সুস্থতা
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীদের এই করণীয়গুলো মেনে চলা উচিত
আজ বিশ্ব নারী দিবস। এই দিবসে নারীদের বিভিন্ন অধিকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে আলোচনার খুব প্রয়োজন।
লেখা:ডা. নওসাবাহ্ নূর
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ১১: ২৭
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম অথবা ইয়োগা করুনছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
নারীর সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে পরিবারের অন্য সদস্যদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য। নারীর স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা বা জটিলতা পুরুষদের থেকে অনেক সময় আলাদা। আবার পুরুষদের অনেক রোগ নারীদেরও একইভাবে আক্রান্ত করতে পারে, কিন্তু তাঁদের লক্ষণ ও চিকিৎসা সব সময় অভিন্ন না–ও হতে পারে।
আমাদের দেশে অনেক নারী ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, স্তন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার, যৌন ও প্রজননবিষয়ক রোগ, ঋতুস্রাবসংক্রান্ত জটিলতা, বিষাদগ্রস্ত, হরমোন সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা কারও সঙ্গে এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন না। যার ফলে এই সমস্যাগুলো দিনের পর দিন প্রকট আকার ধারণ করে।
নারীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রোগ
১. হৃদ্রোগ: গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদ্রোগের কারণে নারীদের মধ্যে প্রতি চারজনের একজনের মৃত্যু হয়। যদিও জনসাধারণ হৃদ্রোগকে পুরুষদের সাধারণ সমস্যা বলে মনে করে। তবে সমস্যাটি পুরুষ ও নারীদের প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস—হৃদ্রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। অনেক সময় নারীদের হৃদ্রোগের উপসর্গ কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। মেনোপজের পর নারীদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ সময় সতর্ক হতে হবে।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?