১০ টাকার নোটে কোন মসজিদের ছবি
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে ১০ টাকার নোটে কোন মসজিদের ছবি পান।
১০ টাকার নোট কোন মসজিদের ছবি রয়েছে
বায়তুল মোকাররম মসজিদের।
১০ টাকার নোট কোন মসজিদের ছবি রয়েছে
Rony Kanto (2 পয়েন্ট) সাধারণ জ্ঞানজিজ্ঞাসা 11 মার্চ 2022 291 বার প্রদর্শিত
আতিয়া জামে মসজিদ টাকা জ্ঞান
1 উত্তর
Md. Abdullah 111 (-3 পয়েন্ট)উত্তর প্রদান 12 মার্চ 2022
বায়তুল মোকাররম মসজিদের।
সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ
স্বারক টাকার নোট গুলো কি জন্য বানানো হয়?
ভারতের কত টাকার নোটের ওপরে মঙ্গল যানের ছবি রয়েছে?
১০ টাকার পলিমার নোট কোন দেশ থেকে প্রথম ছাপানো হয়?
১০ টাকার পলিমার নোট কবে ছাপানো হয়?
৫০ টাকার নোটে কোন মসজিদের ছবি অাসে?
বিভাগসমূহ
সমস্ত বিভাগ
সাধারণ জ্ঞান (44,416)
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা (911)
যৌন শিক্ষা (275) শিক্ষা (9,489) অ্যান্ড্রয়েড (59) ইন্টারনেট (198)
তথ্য-প্রযুক্তি (1,791)
ধর্ম (2,839) কম্পিউটার (580)
প্রেম ও ভালোবাসা (54)
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স (215)
অভিযোগ ও অনুরোধ (37)
রূপচর্চা (102) আউটসোর্সিং (91) খেলাধুলা (1,503)
বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন (1,333)
বিনোদন ও মিডিয়া (965)
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (4,680)
ক্যারিয়ার (1,605)
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি (5,596)
অ্যাসাইনমেন্ট (5)
ওয়েব ডেভলপমেন্ট (4)
অন্যান্য (6,630) 83,378 টি প্রশ্ন 80,110 টি উত্তর 123 টি মন্তব্য 688 জন সদস্য 64 অ্যাক্টিভ ইউজার 0 সদস্য 64 অতিথি আজ ভিজিট : 8043 গতকাল ভিজিট : 65145
সর্বমোট ভিজিট : 17911668
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ১০ টাকার নোটে স্থান পাওয়া সেই মসজিদটি
ঐতিহ্য হারানোর পথে মোগল স্থাপত্যের আতিয়া মসজিদ। বাংলাদেশের ১০ টাকার নোটে এক সময় স্থান পেয়েছিল এই মসজিদের ছবি...
দেশজুড়ে
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ১০ টাকার নোটে স্থান পাওয়া সেই মসজিদটি
আরিফ উর রহমান টগর টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১
অডিও শুনুন
ঐতিহ্য হারানোর পথে মোগল স্থাপত্যের আতিয়া মসজিদ। বাংলাদেশের ১০ টাকার নোটে এক সময় স্থান পেয়েছিল এই মসজিদের ছবি। বর্তমান সময়ও এ মসজিদের মতো ইসলামি স্থাপনা দেশে বিরল। বাংলাদেশে সুলতানি ও মোগল আমলের যেসব প্রাচীন মুসলিম স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
১৬০৯ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের আতিয়া গ্রামে মসজিদটি নির্মাণ করেন করটিয়ার জমিদার সাঈদ খান পন্নী। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের শাসনামলে এ মসজিদটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
ওিই সময় বিভাগটি কিছু কাজ করলেও হয়নি মসজিদটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার। ফলে মসজিদের বড় গম্বুজ আর দেয়ালগুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল। মসজিদটির রঙ কী ছিল, সেটাও বোঝার উপায় নেই। গম্বুজের ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকছে মসজিদের ভেতর। নষ্টের পথে মসজিদের পুরো অংশের পোড়ামাটি দিয়ে অলঙ্কৃত টেরাকোটা নকশাগুলোও।
সংস্কারের অভাবে আজ ধ্বংসের পথে সোয়া ৪০০ বছরের প্রাচীন ইসলামী স্থাপনার এই আতিয়া মসজিদ। এ নিয়ে চরম হতাশ মুসল্লিরা।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বিশিষ্ট সুফি সাধক শাহ্ কাশ্মীরির পরামর্শে মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর তার প্রিয় ভক্ত সাঈদ খান পন্নীকে আতিয়া পরগনার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। সাঈদ খান পন্নীই করটিয়ার বিখ্যাত জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই ১৬০৯ সালে নির্মাণ করেন এই আতিয়া মসজিদ।
টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফার্সি শিলালিপি রয়েছে। এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরি (১৬১০-১১ খ্রি.) দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের ওপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরি (১৬০৮-৯ খ্রি.) উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্য শিল্পরীতিতে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনায় ছিলেন প্রখ্যাত স্থপতি মুহাম্মদ খাঁ। মসজিদটি নির্মাণের পর ১৮৩৭ সালে রওশন খাতুন চৌধুরানী, ১৯০৯ সালে আবুল আহমেদ খান গজনবি এ মসজিদ সংস্কার করেন। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের আমলে মসজিদটির সর্বশেষ কিছু সংস্কারকাজ করে বাংলাদেশ পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদটির সামনের দিকে বারান্দার ওপর অপেক্ষাকৃত ছোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে। বারান্দাসহ মসজিদটির আয়তন ১৭.৭০ মিটার এবং ১২ মিটার। মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব ২.২২ মিটার। মসজিদের চারকোণে অষ্টকোণী ৪টি মিনার রয়েছে। মিনারগুলো ছাদের অনেক ওপরে উঠে ছোট গম্বুজে শেষ হয়েছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালের অর্থাৎ কিবলা দেয়ালের মধ্যে তিনটি অলংকৃত মেহরাব আছে।
পূর্বদিকে খিলান বিশিষ্ট তিনটি প্রবেশ পথ। বারান্দা থেকে তিনটি প্রবেশ পথের মাধ্যমে মূল মসজিদে প্রবেশ করা যায়। সম্মুখ অংশসহ পুরো মসজিদই পোড়ামাটির টেরাকোটা নকশায় অলংকৃত।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় মুসল্লি সাদেক আলী (৫৫) বলেন, ৩০ বছর যাবৎ এ মসজিদে নামাজ আদায় করছি। অনেকেই মসজিদটি দেখতে আসেন। কিন্তু কেউই মসজিদটি সংস্কার করার কথা বলেন না। স্থানীয়দের করা একটি মসজিদ পরিচালনা কমিটি এর দায়িত্ব পালন করছেন। ওই কমিটিই বহন করছে মসজিদের ঈমাম, মুয়াজ্জিমের বেতনসহ আনুসাঙ্গিক খরচ। শুধু সরকারিভাবে মসজিদের জন্য ১শ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ফ্রি আছে। এর উপরে বিল আসলে সেটিও পরিশোধ করছে ওই কমিটি। এছাড়া সরকারিভাবে রাখা হয়েছে একজন পাহারাদার।
আতিয়া জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, প্রায় ১৮ বছর যাবৎ এ মসজিদে কর্মরত আছি। মসজিদটির সংস্কার দায়িত্ব পুরাতত্ত্ব বিভাগ পালন করলেও আমার কর্মরত সময়ে কোনো কাজ করেননি তারা। মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ বিভাগের পক্ষ থেকে একজন কেয়ারটেকার নিয়োগ দেয়া আছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মসজিদটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। সিরিয়াল না আসায় আতিয়া মসজিদের সংস্কার কাজটি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি সংস্কারের জন্য তাদের যে সকল সাইট রয়েছে সেখানে তাদের অর্থ ও জনবল সীমিত। এছাড়াও সিরিয়াল ভিত্তিক পরিচালিত হচ্ছে তাদের ওই সংস্কার কাজ।
চলতি বছর মসজিদটি সংস্কারের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
মুঠোফোনে আতিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক মাসুদুর রহমান বলেন, ৪শ বছরের প্রাচীন আর ঐতিহাসিক এই আতিয়া জামে মসজিদ। প্রায় ২০ বছর যাবৎ এই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি আমি। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই আতিয়া মসজিদ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর তাদের তত্ত্বাবধানে দুইবার মসজিদটির কিছু সংস্কার হয়। এ সময় মসজিদের দেয়ালের খসে পড়া কিছু ইট লাগানোসহ চারপাশে চুন সুড়কি দিয়ে দেয়াল পাকা করার কাজটি করেন তারা। এছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত একজন পাহারাদারকে বেতন দিচ্ছে এ বিভাগ।
তিনি আরও জানান, মসজিদের দুইটি পুকুর থেকে পাওয়া টাকা আর স্থানীয়দের মাসিক চাঁদায় ঈমাম ও মুয়াজ্জিমের বেতন দেয়াসহ চলছে আনুসাঙ্গিক খরচ। ঐতিহ্য রক্ষার্থে দ্রুত মসজিদটির সংস্কার দাবি করেন তিনি।
মুঠোফোনে বাংলাদেশ পুরাতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখি রায় বলেন, সংস্কার তালিকায় আতিয়া মসজিদের নাম আছে। সিরিয়াল অনুসারে আমাদের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আগামী বছর অর্থ বরাদ্দ পেলে ও সংস্কার প্রয়োজন আছে কিনা পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এফএ/এমএস মসজিদ টাঙ্গাইল-খবর
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
দশ টাকার পুরাতন নোটের ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ
আতিয়া মসজিদ টাঙ্গাইল শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত। বছরজুড়ে প্রচুর দর্শনার্থী আগমন করেন মসজিদটি দেখতে।
দশ টাকার পুরাতন নোটের ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ
ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
AddThis Sharing Buttons
Share to Twitter Share to LinkedIn Share to WhatsApp Share to Messenger Share to Facebook Share to Copy Link
দশ টাকার পুরাতন নোটের ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ
টাঙ্গাইলের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি আতিয়া জামে মসজিদ। বাংলার সুলতানি এবং মোগল স্থাপত্যশৈলী ও বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে এটি নির্মিত। আতিয়া মসজিদ যুগসন্ধিলগ্নের মসজিদ-স্থাপত্য ও নিদর্শনরূপে পরিচিত। বাংলাদেশে যে সকল ঐতিহ্যবাহী মুসলিম স্থাপত্য রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এ মসজিদটি অন্যতম।
আতিয়া মসজিদ টাঙ্গাইল শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত। বছরজুড়ে প্রচুর দর্শনার্থী আগমন করেন মসজিদটি দেখতে।
মসজিদের নামকরণ ও অন্যান্য‘আতিয়া’ শব্দটি আরবি ‘আতা’ শব্দ থেকে উৎপত্তি, অর্থ হলো ‘দান’। পঞ্চদশ শতকে এ অঞ্চলে আদম শাহ্ বাবা কাশ্মিরী নামে বিখ্যাত এক সূফি ধর্মপ্রচারক আগমন করেন। ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এখানে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচার করতে থাকেন।
দশ টাকার পুরাতন নোটের ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ
জাতীয় ইতিহাস-তথ্যের বরাতে জানা যায়, এই পুণ্যবান ব্যক্তির কবরও এখানেই অবস্থিত। তিনি বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ কর্তৃক আতিয়ার জায়গিরদার নিযুক্ত (১৫৯৮ সালে) হয়েছিলেন। ওই সময় ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার ব্যয়ভার বহনের জন্য কররানি শাসক সোলাইমান কররানির কাছ থেকে বিশাল একটি এলাকা ‘ওয়াকফ্’ হিসাবে পান। এলাকাটি তাকে দান করা হলে, পরবর্তীতে এ দান বা ‘আতা’ থেকে এ পরগণার নাম ‘আতিয়া’ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাতা ও সময়কালশাহ্ কাশ্মিরীর শেষ বয়সে তার পরামর্শে অনুরক্ত সাঈদ খান পন্নীকে মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা নিয়োগ করেন। সাঈদ খান পন্নীই করটিয়ার বিখ্যাত জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন।
স্থপতি ও সংস্কারএটি দেলদুয়ার উপজেলা তথা টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্য শিল্পরীতির সমন্বয়ে নির্মিত এ মসজিদের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ছিলেন প্রখ্যাত স্থপতি মুহাম্মদ খাঁ। মসজিদটি নির্মাণের পর ১৮৩৭ সালে রওশন খাতুন চৌধুরী ও ১৯০৯ সালে আবুল আহমেদ খান গজনবি সংস্কার করেন।
দশ টাকার পুরাতন নোটের ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ
অবকাঠামো ও স্থাপত্যশৈলীবাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন সূত্রে জানা যায়, মসজিদটির কিবলাকোটা ও বারান্দাসহ সার্বিক পরিমাণ ১৭.৭০ মিঃ ১২ মিটার। মসজিদের দেয়াল ২.২২ মিটার প্রশস্ত। বারান্দা ৩.৮২ ৭.৫ মিটার। সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্যরীতির সুষম সমন্বয় এ মসজিদে দেখা যায় চারকোণে ৪টি বিরাট অষ্টকোণা আকৃতির মিনার রয়েছে। মিনারগুলো ছাদের অনেক উপরে উঠে ছোট গম্বুজে শেষ হয়েছে।
বাংলার স্থাপত্য-কীর্তিগুলো মূলত ইটের তৈরি। তাই বাংলার স্থাপত্য এবং তার অলংকরণ সবই বিকশিত হয়েছে ইটের মাধ্যমেই। আতিয়া মসজিদও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ মসজিদে সুলতানি স্থাপত্য-বৈশিষ্ট্যে রয়েছে দারুণভাবে। বক্রাকার কার্নিশে, দ্বিকেন্দ্রিক সুচালো খিলান, গম্বুজ নির্মাণে বাংলা পান্দানতিভ ব্যবহার এবং উল্লেখযোগ্যভাবে পোড়ামাটির টেরাকোটা নক্শালংকারে চমৎকারিত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
আতিয়া মসজিদের গম্বুজের নির্মাণশৈলীতে দেখা যায় কিবলা কক্ষের উপর বড় গম্বুজটি খিলানভিত্তিক নির্মাণ পদ্ধতিতে (স্কুইঞ্জ পদ্ধতি) এবং বারান্দার ওপর ছোট তিনটি গম্বুজ ‘বাংলা পান্দান্তিভ’ পদ্ধতিতে নির্মিত। পরবর্তীতে সংস্কারের সময় গম্বুজগুলো পলেস্তরা দিয়ে সমান করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু মসজিদ নির্মাণের সময় এমন ছিলো না। আদিতে গম্বুজগুলো পলকাটা বা ঢেউতোলা ছিল। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে সুড়ঙ্গপথ সম্বলিত ভূগর্ভস্থ কবর নিয়ে নানা এলাকায় নানান ধরনের মতামত রয়েছে।
দশ টাকার পুরাতন নোটের ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ
টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদে প্রাপ্ত একটি আরবি একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে মসজিদের নির্মাতা, সময়কাল ও পূর্বের কিছু অসংতির সমাধান পাওয়া যায়। বিদায়ী সুলতানি আর নবাগত মোগল উভয় রীতির সংমিশ্রণে অপূর্ব এক মুসলিম স্থাপত্য, যা দৃষ্টিনন্দন এবং এ অঞ্চলে বিরল।
দশ টাকার পুরাতন নোটেপুরাতন দশ টাকার নোটের ডানদিকে আতিয়া মসজিদের ছবি রয়েছে। তবে আজকাল দশ টাকার পুরাতন নোটটি তেমন দেখা যায় না। কারো কাছে সংগৃহীত থাকলে মাঝে-মধ্যে দেখা যায়।
যেভাবে যাতায়াতটাঙ্গাইল শহর থেকে সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহন যোগে সহজে আতিয়া মসজিদ যাওয়া যায়।
ইসলাম বিভাগে লিখতে পারেন আপনিও। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এমএমইউ
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুনবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ইসলাম বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?