২৬ শে মার্চ ২০২১ কত তম স্বাধীনতা দিবস
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে ২৬ শে মার্চ ২০২১ কত তম স্বাধীনতা দিবস পান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা
আনুষ্ঠানিক নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
পালনকারী বাংলাদেশ ধরন জাতীয় দিবস
উদযাপন পতাকা উত্তোলন, প্যারেড, পুরস্কার অনুষ্ঠান, দেশাত্মবোধক গান এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
তারিখ ২৬ মার্চ
পরবর্তী আয়োজন ২৬ মার্চ ২০২৩
সংঘটন বার্ষিক
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]
পতাকা একেঁ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপন শুরু হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এমতাবস্থায় বাঙালিদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।
অপারেশন সার্চলাইট[সম্পাদনা]
মূল নিবন্ধ: অপারেশন সার্চলাইট
অপারেশন সার্চলাইট ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল।[১] এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাষকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্ এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।[২]
স্বাধীনতার ঘোষণা[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।[৩][৪][৫][৬] ঘোষণাটি নিম্নরুপ:
অনুবাদ: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।[৭]
২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। পরে ২৭শে মার্চ [৮] তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার[৯] মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:
অনুবাদ: আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।
আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।[৭][১০]
১৯৭১ সালে ২৭ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়।
স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন[সম্পাদনা]
২৬শে
প্রকাশন তারিখ : 2021-03-28 প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর কর্তৃক ২৬ শে মার্চ ২০২১ তারিখ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়। বর্ণাঢ্য
Wellcome to National Portal
অফিসের ধরণ
Previous Next Previous Next
প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর
বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
মেনু নির্বাচন করুন Text size A A A Color C C C C
কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
3 SHARES Share to Facebook Share to Messenger Share to WhatsApp Share to Twitter Share to LinkedIn Share to Gmail Share to Print Share to More
National Portal Bangladesh
পোর্টাল সাবস্ক্রাইব করুন
পোলিং মতামত দিন
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ মার্চ ২০২১
২৬শে মার্চ ২০২১ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন।
প্রকাশন তারিখ :
প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর কর্তৃক ২৬ শে মার্চ ২০২১ তারিখ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়। বর্ণাঢ্য উদযাপনে নিম্নলিখিত কর্মসূচি পালিত হয়:১। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে রাত ৯:০০-৯:০১ পর্যন্ত ১(এক) মিনিট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।
২। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দপ্তর আলোক সজ্জা করা হয়।
৩। ২৬ শে মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দপ্তর প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক (যুগ্মসচিব) আবুল খায়ের মোঃ আক্কাস আলী।
৪। দপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ সকাল ৭.০০ ঘটিকায় দপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে র্যালি করেন। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক (যুগ্মসচিব) আবুল খায়ের মোঃ আক্কাস আলী।
৫। সকাল ৯.০০ টায় দপ্তরের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। আলোচনা, দোয়া ও মোনাজাতে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক (যুগ্মসচিব) আবুল খায়ের মোঃ আক্কাস আলীসহ দপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
3 SHARES Share to Facebook Share to Messenger Share to WhatsApp Share to Twitter Share to LinkedIn Share to Gmail Share to Print Share to More
National Portal Bangladesh
পোর্টাল সাবস্ক্রাইব করুন
পোলিং মতামত দিন
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী
সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ
সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ
প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক
যুগ্মসচিব
এই দপ্তরের ডিজিটাল সেবাসমূহ
অভ্যন্তরীণ ই-সেবাসমূহ
ওয়েব মেইল ই-সার্ভিস
অনলাইন পরিদর্শন ব্যবস্থাপনা
অনলাইন ছুটি ব্যবস্থাপনা
সকল
কেন্দ্রীয় ই-সেবা
গুরুর্তপূর্ন লিঙ্ক সমূহ
ই-সার্ভিস(প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর)
ই-নথি বিদ্যুৎ বিভাগ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ (ডিপিডিসি)
পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)
সকল লিংক
জাতীয় সংগীত
সরকারি অফিস সংযুক্তির ফরম
জরুরি হটলাইন
২৬শে মার্চ কি দিবস? ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস জানুন
২৬ শে মার্চ ২০২২ কত তম স্বাধীনত দিবস তা জানতে পোস্টটি পড়ুন। এর পাশাপাশি পোস্টটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন ২৬শে মার্চ কি দিবস।
২৬শে মার্চ কি দিবস? ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস জানুন
২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস তা জানতে পোস্টটি পড়ুন। এর পাশাপাশি পোস্টটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন ২৬শে মার্চ কি দিবস।
২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস সেটি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে ২৬শে মার্চ কি দিবস। ২৬শে মা্র্চ এর ইতিহাস। কেন ২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বলে আখ্যায়িত করা হয়। কি হয়েছিল সেদিন। আজকের এই পোস্টে ২৬শে মার্চ কি দিবস এবং এর পাশাপাশি ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনত দিবস এবং এই দিনের তাৎপর্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ
পেজ সূচিপত্রঃ ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস - ২৬শে মার্চ কি দিবসঃ
২৬শে মার্চ কি দিবস – ২৬শে মার্চ কে কেন স্বাধীনতা দিবস বলা হয়ে থাকে?
২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস - ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালে কি হয়েছিল?
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ইতিহাস
২৬শে মার্চ কি দিবস – ২৬শে মার্চ কে কেন স্বাধীনতা দিবস বলা হয়ে থাকে?
২৬শে মার্চ কি দিবস তা নিয়ে আমাদের নতুন শিশু অথবা তরুন সমাজের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি দেখা যায়। তারা অনেকে ২৬শে মার্চ কি দিবস তা জানেন না। জানলেও তা ১৬ই ডিসেম্বরের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। তাই আজকে আমাদের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে ২৬শে মার্চ কি দিবস তা নিয়ে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়লে অবশ্যই জানতে পারবে ২৬শে মার্চ কি দিবস। আর এই ইতিহাস নিয়েই বিস্তারিত লেখা আছে। চলুন শুরু করা যাকঃ
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো ২৬শে মার্চ কে কেন স্বাধীনতা দিবস বলা হয়ে থাকে। ২৬শে মার্চ দিনটি বাঙ্গালীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত সাড়ে এগারোটা থেকে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালানো শুরু করে। এই নির্মম হত্যাকান্ডকে অপারেশন সার্চলাইট ও বলা হয়ে থাকে। পাক হানাদার বাহিনীর এই হামলার আসল উদ্দ্যেশে ছিল বাংলাদেশের যুবক সমাজকে নিঃশেষ করে দেয়া এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা।
আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষনা দেন?
২৬ শে মার্চ রাত প্রায় ২টার দিকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্ত গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বনগবন্ধু দেশবাসীর উদ্দেশ্য একটি ভাষন দিয়ে যান। ওই ভাষনে তিনি বলেন আজ হতে বাংলাদেশ স্বাধীন। সেদিন থেকেই আমরা আর পাকিস্তানের অংশ নয়। আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। যেহেতু সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তাই ২৬শে মার্চকে মহান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা সেদিন থেকে।
২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস - ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালে কি হয়েছিল?
২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস তা অনেকের মনে প্রশ্ন। তো আপনি যদি ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনত দিবস জানতে চান তাহলে আপনি আপনি একটু নিজেই ভেবে দেখুন ২০২১ সালে বিরাট আয়োজন করে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হয় অর্থ্যাৎ স্বাধীনতার ৫০ বছর। ২০২১ সাল স্বাধীনতার ৫১ তম বছর গেলে ২০২৩ সাল স্বাধীনতার ৫২ তম বছর হবে।
বাঙালিদের নিজেদের অধিকার নিয়ে আত্মবিশ্বাস দেখে পাক হানাদার বাহিনী বুঝে গিয়েছিল যে বাঙালিদের এত সহজে দমানো যাবেনা। তখন তারা বাঙালীদের দমন করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে। সেই পরিকল্পনার নাম দেয়া হয় অপারেশন সার্চলাইট। এই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্মম ভাবে নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাকান্ড চালানো।
মূলত এই পরিকল্পনা তখনই শুরু করা হয় যখন বাংলাদেশে তার ক্ষমতা পূর্ব পাকিস্তানের তুলে দেয়নি। তখন থেকেই পাক হানাদার বাহিনী গোপনে পরিকল্পনা করছিল কিভাবে বাঙালিদের দমন করা যায়। তাই তারা নিজেরা নিজেরা এমনভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো যেন কেউ বুঝতে না পারে। তারা হামলা চালায় তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী।
আরো পড়ুনঃ মার্চ মাসের সরকারী ছুটি দেখে নিন
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো পাক হানাদার বাহিনী বুঝতেই পারেনি যে তাদের অপারেশনের পর তারা যেরকম আশা করেছিল সেরকম না ঘটে তার ঠিক উল্টোটা ঘটবে। অর্থাৎ, পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ অন্ধকারে বাঙালির উপর হামলা চালানোর পর ২৬ মার্চ মধ্যরাতে যখন বঙবন্ধুকে ধরে নিয়ে যাবে তার কিছুক্ষণ আগে বঙবন্ধু দেশবাসীর উদ্দ্যেশ্য স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ইতিহাস – ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস – ২৬শে মার্চ কি দিবস
১৯৪৭ সালের আগষ্টে ভারতীয় উপমহাদেশের ৩০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ব্রিটিশ ইডিয়া দুইটি স্বাধিন উপমহাদেশে ভাগ হয়ে যায়। দুই ভাগের মধ্যে এক ভাগ ছিল হিন্দু ধর্মাবলী নিয়ে যা আমরা ভারত নামে চিনি এবং অপরটি ছিল মুসলিম ধর্মাবলী নিয়ে যা আমরা পাকিস্তান নামে চিনি। পাকিস্তান দেশটি শুধু ধর্মেই একতাবদ্ধ। অর্থ ,সরকার, সম্পদ সবই পশ্চিম পাকিস্তানের দখলে। অন্যদিকে ভারতের আরেক দিকে হাজার হাজার মাইল দূরের পূর্ব পাকিস্তান জর্জরিত দারিদ্র আর দুঃখ-কষ্টে। এই দুই বিচ্ছিন্ন অংশের মধ্যে সর্বপ্রথম যে বিবাদ দেখা দেয় তা হলো ভাষা নিয়ে। তাদের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে।
পাকিস্তানের ৫৬% ভাগ মানুষ কথা বলতো বাংলা ভাষাতে যেটা মূলত পুর্ব বাংলার মাতৃভাষা। আর বাকি ৪৪% কথা বলতো উর্দু ভাষাতেযা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা। আর তাই পশ্চিম পাকিস্তান জোরপূর্বক তাদের মাতৃভাষা উর্দু পূর্ব বাংলার মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছিলো। তাদের সবসময় মনে হয়েছে তারা যেন পসচিম পাকিস্তানের উপনিবেশ। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন পুর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রাভাষা হবে উর্দু। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীনের কাছ থেকেও একই ঘোষনা আসে। এর প্রতিবাদে পূর্ব বাংলার সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ২১শে ফেব্রুয়ারী হরতালের ডাক দেয়।
১৪৪ দ্বারা ভঙ্গ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আমতলা চত্ত্বরে ছাত্ররা অবস্থা নেয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চায় শ্লোগান দিতে দিতে তারা যখন এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন পুলিশ মিছিলিএর উপর গুলি বর্ষন শুরু করে। এতে শহীদ হন সালাম, বরকত ,রফিক, জব্বার সহ আরো অনেকে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়। তখনো পশ্চিম পাকিস্তান থেমে যায় নি। শহীদ মিনারের সেখানেও হস্তক্ষেপ করে। পরেরদিন পুলিশ শহীদ মিনার ভেঙ্গে দেয়। এতে করে আন্দোলন আরো ছড়িয়ে পড়ে। ৪ বছর পর ১৯৫৬ সালে সঙ্ঘঠিত হয় পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র। গণপরিষদ থেকে পাকিস্তান একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রে গঠিত হয়। পশ্চিম প্রদেশের নাম দেয়া পসচিম পাকিস্তান এবং পূর্ব বাংলার নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু নাম পরিবর্তন করলেই তো শাসকগোষ্ঠীর আচরণ পরিবর্তন হয়ে যায় না।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?