৬ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া পান।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বেশি হলে করণীয় – সহায় হেলথ
গর্ভাবস্থার প্রথম ১৬ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে আপনি গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া অনুভব করতে শুরু করবেন। প্রথমবারের মত গর্ভধারণ করলে আপনি হয়তো ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত নড়াচড়া অনুভব নাও করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া
লিখেছেন ডা. ইমা ইসলাম ও ডা. উম্মে ফাতেমা ফারিন
শেয়ার করুন: Facebook WhatsApp Messenger Copy Link
গর্ভবতী অবস্থায় পেটের ভেতরে শিশুর নড়াচড়া টের পাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। গর্ভের শিশুর নড়াচড়া থেকে শিশুর সুস্থতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়। তবে এই নড়াচড়া একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়ে থাকে। তাই মোটা দাগে নড়াচড়ার পরিমাণ ও ধরন স্বাভাবিক না কি অস্বাভাবিক সেটি বলে দেওয়া কঠিন।
গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার ধরনে কিছু বিশেষ পরিবর্তন আসলে সেটি বিপদের লক্ষণ হতে পারে। তাই মা ও গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনতে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
সুচিপত্র
যেভাবে বুঝবেন মাস অনুযায়ী নড়াচড়া কেন খেয়াল করবেন বেশি নড়াচড়া করলে সাধারণ জিজ্ঞাসা
গর্ভের শিশু নড়াচড়া করছে কি না যেভাবে বুঝবেন
গর্ভের শিশু নড়াচড়া করতে শুরু করলে পেটের ভেতরে হালকা ঝাঁকুনির মতো অনুভূতি হয়ে থাকে। আবার কখনো কখনো শিশু পেটের ভেতরে আলতোভাবে ঘুরছে বলে মনে হতে পারে।
গর্ভকাল বাড়ার সাথে সাথে গর্ভের শিশুও বাড়ন্ত উদ্যমে নড়াচড়া করতে থাকে। তখন পেটের ভেতরে লাথি কিংবা খানিকটা ঝাঁকুনির মতো অনুভূতি হতে পারে। পুরো গর্ভকাল জুড়ে গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার মাত্রা ও ধরনে যে তারতম্য দেখা যায়, সেটিকে শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের প্রতিফলন বলে ধরা হয়।
বিশেষ তথ্যগর্ভবতী নারী নিজে সচল অবস্থায় থাকলে কিংবা কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে গর্ভের শিশুর নড়াচড়া টের না-ও পেতে পারেন।
মাস অনুযায়ী শিশুর নড়াচড়া
গর্ভধারণ থেকে ৪ মাসের গর্ভবতী
গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাস, অর্থাৎ ১ম থেকে ১৬তম সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত গর্ভবতী নারীরা শিশুর নড়াচড়া অনুভব করতে পারেন না। তবে ইতঃপূর্বে গর্ভধারণ করেছেন এবং সন্তান প্রসব করেছেন এমন নারীদের মধ্যে কেউ কেউ গর্ভাবস্থার ১৬তম সপ্তাহে শিশুর নড়াচড়া টের পেতে শুরু করেন।
৫ থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী
সাধারণত গর্ভধারণের ৪ মাসের পরে, অর্থাৎ ১৬ সপ্তাহ–২৪তম সপ্তাহের মধ্যে গর্ভবতী নারীরা প্রথমবারের মতো শিশুর নড়াচড়া টের পেতে শুরু করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ নারীই গর্ভধারণের ১৮ সপ্তাহ–২০তম সপ্তাহে প্রথমবারের মতো এই নড়াচড়া অনুভব করেন। গর্ভকাল আগানোর সাথে সাথে পেটের ভেতরে শিশুর নড়াচড়াও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে।কেউ প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পার হওয়ার আগ পর্যন্ত গর্ভের শিশুর নড়াচড়া না-ও বুঝতে পারেন। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে প্রথমবার নড়াচড়া বুঝতে গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পরেও আরও কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে যেতে পারে।[১]
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগর্ভধারণের ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের নড়াচড়া অনুভব না করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাক্তার গর্ভের শিশুর নড়াচড়া ও হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন পরীক্ষা করে দেখবেন। প্রয়োজনে তিনি পেটের আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতে পারেন।
৭ থেকে ৮ মাসের গর্ভবতী
গর্ভাবস্থার ৭ম–৮ম মাসে, অর্থাৎ ২৪তম সপ্তাহ থেকে ৩২তম সপ্তাহে সময়ের সাথে গর্ভের শিশুর নড়াচড়াও বাড়তে থাকে। গর্ভধারণের ৩২তম সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভের শিশুর নড়াচড়া এভাবে বাড়তে থাকে।[২][৩] তা ছাড়া দিন-রাতের পরিবর্তনের সাথে সাথে গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার ধরনেও ভিন্নতা আসে। গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহ থেকেই এই দিন-রাতের পরিবর্তন লক্ষ করা যেতে পারে।
গর্ভের শিশুকে সাধারণত বিকেলে ও সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া করতে দেখা যায়।[৪]
আবার গর্ভের শিশু যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন শিশুর নড়াচড়া টের পাওয়া যায় না। এই সময়টুকুকে ‘স্লিপ সাইকেল’ বা ঘুম-চক্র বলা হয়। দিনে ও রাতে নিয়মিত বিরতিতে এই ঘুম-চক্র চলতে থাকে। একেকটি চক্র সাধারণত ২০–৪০ মিনিট স্থায়ী হয়।[৫] তবে গর্ভে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা শিশুর ঘুম-চক্র একটানা ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলতে থাকার ঘটনা বিরল।[৬][৭]
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগর্ভধারণের ২৮তম সপ্তাহের পর থেকে যদি গর্ভবতী নারীর গর্ভের শিশুর নড়াচড়া নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তাদেরকে পরবর্তী দুই ঘণ্টার জন্য বাম কাত হয়ে শুয়ে গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে যদি কমপক্ষে ১০ বার শিশুর নড়াচড়া সুস্পষ্টভাবে বোঝা না যায়, তাহলে তাকে সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা গাইনী ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
৯ থেকে ১০ মাসের গর্ভবতী
গর্ভকাল বাড়ার সাথে সাথে পেটের ভেতরে শিশুর নড়াচড়াও বাড়তে থাকে। গর্ভের ৩২তম সপ্তাহে এই নড়াচড়া সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে। এরপর থেকে প্রসবের আগ পর্যন্ত গর্ভের ভেতরে শিশুর নড়াচড়া স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। তবে সময়ের সাথে নড়াচড়ার মাত্রা স্থিতিশীল থাকলেও নড়াচড়ার ধরনে পরিবর্তন আসে।[৮] প্রসব চলাকালীন সময়েও গর্ভের ভেতরে শিশুর নড়াচড়া চলতে থাকবে।
পড়ুন: সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থাবিশেষ দ্রষ্টব্য: কেউ কেউ বাড়িতে হৃৎস্পন্দন শোনার যন্ত্র (হোম ডপলার) দিয়ে নিজেরাই গর্ভের শিশুর হৃৎস্পন্দন পরীক্ষা করার চেষ্টা করেন। মনে রাখতে হবে, এই যন্ত্রটি গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারে না। হৃৎস্পন্দন শোনা গেলেও শিশু আসলেই সুস্থ আছে কি না সেই ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। তাই গর্ভের শিশুর শারীরিক অবস্থা সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।গর্ভাবস্থায় শিশুর নড়াচড়া খেয়াল করা কেন জরুরি?
গর্ভের শিশু কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে পেটের ভেতরে তার নড়াচড়া স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। এ ছাড়া শিশুর নড়াচড়ার ধরনেও পরিবর্তন আসতে পারে। এই ধরনের পরিবর্তন গর্ভের শিশুর দেহে ইনফেকশন অথবা অন্য কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
যত তাড়াতাড়ি এসব পরিবর্তন খেয়াল করা যায়, ততই ভালো। এতে গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুকে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যাবে। ফলে গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনা এবং মৃত্যুঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।
গর্ভের শিশুর নড়াচড়ায় নিচের ৩টি পরিবর্তনের কোনোটি দেখা দিলেই দেরি না করে গর্ভবতী নারীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে—১. নড়াচড়া স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে
গর্ভাবস্থা: 6 মাস
গর্ভের মধ্যে, তোমার বাচ্চা এখন নিয়মিত সময় বাদে বাদে জাগে ও ঘুমোয়। - BabyCenter India
গর্ভাবস্থা: 6 মাস
3 Dart, LLC for BabyCenter
In this article
বাচ্চাকে গান গেয়ে শোনাও, ও তোমার কথা শুনতে পায়!
সাহায্য চাই, আমি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছি!
আমার কী সিজারিয়ান করাতে হবে?
যথাসময়ের আগে আমার শিশু জন্মালে কী হবে?
বাচ্চাকে গান গেয়ে শোনাও, ও তোমার কথা শুনতে পায়!
গর্ভের মধ্যে, তোমার বাচ্চা এখন নিয়মিত সময় বাদে বাদে জাগে ও ঘুমোয়। ও এখন চোখ খুলতে আর বন্ধ করতে পারে, আর আঙুল কিংবা বুড়ো আঙুল চুষতে পারে! এতে ওর চোষার পেশিগুলো জোরালো হয়, যাতে জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই ও দুধ খাওয়ার মত যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে। ওর মস্তিষ্ক এখন তাড়াতাড়ি বাড়ছে।
ও এখন শব্দ শুনে সাড়া দিতে পারে। প্রথমে ও শুধু তোমার শরীরের শব্দই শুনতে পাবে, যেমন তোমার বুকের ধকধক শব্দ। কিন্তু আস্তে আস্তে ও তোমার শরীরের বাইরের শব্দও শুনতে শুরু করবে। ওকে গান গেয়ে শোনাও যাতে ও তোমার গলা শুনতে পায়।
হয়তো মনে হবে তোমার গর্ভ তোমার পাঁজরের কাছে উঠে এসেছে, যার দরুন তোমার নিঃশ্বাস নিতে হাঁসফাঁস লাগবে। তোমার বাড়ন্ত বাচ্চা পাকস্থলীর উপর চাপ দেওয়ায় খেতে অসুবিধে হতে পারে। বারে বারে অল্প অল্প করে খাও আর বড় খাওয়ার মাঝে মাঝে হালকা খাবার খেতে থাকো।
তোমার বাচ্চার সঙ্গে সঙ্গে তোমার গর্ভও বাড়ছে। তোমার পেটের চামড়া টান টান হবে আর তার দরুন চুলকানি হতে পারে। তোমার পেট, তলপেট, পাছা ও বুকে লাল লাল ডোরা চোখে পড়তে পারে। এগুলো চামড়ায় টান পড়ার জন্য হয় এবং প্রসবের পরে অনেক হালকা হয়ে যাবে। তোমার পায়ে খিঁচ ধরতে পারে বা শিরা ফুলতে পারে।
তোমার বুক এখন আগের চেয়ে ভরাট ও ভারি হয়েছে। তার কারণ ওরা এখন তোমার বাচ্চার দুধ তৈরি করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
সাহায্য চাই, আমি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছি!
কোষ্ঠ হওয়ার মানে আপনার মলত্যাগ করতে কষ্ট হচ্ছে বা মলত্যাগ করতে পারছেন না৷ বা হয়ত আপনার পেট ভালোমত পরিষ্কার হচ্ছে না৷ এছাড়া আপনার মল অস্বাভাবিক শক্ত, ঢেলামত, বড় বা ছোট হতে পারে৷
গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন৷ তার নানা কারণ থাকে:
আপনার শিশু আকারে যত বড় হতে থাকে, আপনার জরায়ু শ্রোণীর উপরে তত চাপ দেয়৷ এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷
গর্ভাবস্থার হরমোনের ফলেও শরীরের মধ্যে দিয়ে খাদ্যদ্রব্যের গতি মন্থর হয়ে যেতে পারে৷
ব্যায়ামের অভাবেও আপনার হজমক্ষমতা মন্থর হয়ে যেতে পারে৷
আপনি আরো বেশি পরিমাণে ফল এবং সব্জি খেয়ে আপনার শরীরকে সাহায্য করতে পারেন৷ গাঢ় সবুজ শাক সব্জি যেমন পালং শাক এবং মেথি শাক খেয়ে দেখুন, এছাড়া পেয়ারা, তারো বা কচু এবং মাশরুম খেয়ে দেখতে পারেন৷ শাক সব্জি এবং ফল তন্তুসমৃদ্ধ হয়, যা আপনার মলকে নরম করে দিতে এবং সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করবে৷ প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার, ফোটানো জল খাবেন৷ এতেও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যায়৷
প্রতি দিন আয়রনের ট্যাবলেট খাওয়া অত্যন্ত জরুরি৷ এইগুলির ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে৷ তবে ট্যাবলেট খাওয়া বন্ধ করবেন না কারণ এইগুলি আপনার এবং আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি৷ বরং আপনার ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীর কাছ থেকে অন্য ধরণের আয়রন ট্যাবলেটে চেয়ে নিন এবং বেশি করে পরিষ্কার, সুরক্ষিত জল খান; ভালো করে খাবার খান এবং প্রতি দিন আপনার কিছুটা ব্যায়াম হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন৷
আমার কী সিজারিয়ান করাতে হবে?
কখনো কখনো সন্তান প্রসবের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল অপারেশন৷ তবে শুধু হাসপাতালে আপনি সিজারিয়ান করাতে পারেন৷
আপনি যদি 1টির বেশি সন্তানকে জন্ম দেন বা যদি জন্মের সময় আপনার সন্তানের ভালো অবস্থান না থাকে তাহলে হয়ত অপারেশনের প্রয়োজন হবে৷
যদি আপনার 12 ঘন্টার বেশি সময় ধরে প্রসববেদনা চলে তাহলে হয়ত আপনার সন্তানের জন্মে সাহায্যের জন্য অপারেশনের প্রয়োজন হবে৷ যদি আপনার বাড়িতে প্রসব বেদনা ওঠে তাহলে তখন হাসপাতালে যেতে হবে যাতে কোনো সমস্যা আছে কিনা জানা যায়৷
যদি প্রসবকালে আপনার রক্তপাত হয় তাহলে খুব শিগগীর হয়ত অপারেশন করানোর প্রয়োজন হবে৷
যদি এর আগে সন্তানের ক্ষেত্রে আপনি অপারেশন করিয়ে থাকেন তাহলে এই সন্তানের সময়ও আপনার অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে৷ এই ক্ষেত্রে, এই শিশু যাতে হাসপাতালে জন্মায় তার পরিকল্পনা অবশ্যই করে নিন৷
অপারেশনের সময় হয়ত আপনি ঘুমাবেন, বা আপনি যাতে বেদনা অনুভব না করেন সেইজন্য আপনাকে ইনজেকশন দেওয়া হতে পারে৷ আপনার পেট কাটা হবে৷ ডাক্তার আপনার সন্তান প্রসব করিয়ে আবার আপনার পেট সেলাই করে দেবেন৷ জন্মের পরেই, অথবা যদি আপনি অপারেশনের জন্য ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনি জেগে ওঠার পরে, আপনার শিশুসন্তানকে দেখতে পাবেন৷
অপারেশনের পরে যতদিন না আপনার ক্ষতস্থান সেরে ওঠে ততদিন ধরে আপনাকে পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজন হবে৷ স্বাভাবিক প্রসবের মতই, কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনার যোনি দিয়ে রক্তপাত হবে৷
যথাসময়ের আগে আমার শিশু জন্মালে কী হবে?
9 মাসে বেশির ভাগ শিশু জন্মায়৷ তবে কখনো কখনো যথাসময়ের আগে প্রসব হয়ে যায়৷ যথাসময়ের আগে প্রসববেদনা শুরু হলে, আপনাকে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে৷ জন্মের সময় আপনার শিশুর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হবে৷ যদি আপনার শিশু ছোট ও দূর্বল হয় তাহলে যতদিন না সে সবল হয়ে উঠছে ততদিন হয়ত আপনাকে হাসপাতালে থাকতে হবে৷
আপনার শিশুকে সবল করে তোলার জন্য অন্যতম যে কাজটি আপনি করতে পারেন তা হল তাকে বুকের দুধ খাওয়ানো৷ আপনার প্রথম বুকের দুধ খুব ঘন, ক্রিমের মত এবং পুষ্টিতে ভরপুর হয়৷ সেটা ফেলে দেবেন না৷ আপনার শিশুকে এই অমূল্য উপহার দিন৷
যথাসময়ের আগে জন্ম হলে সেই শিশুর হয়ত নিজে নিজে বুকের দুধ খাওয়ার মত শক্তি থাকে না৷ তাকে খাওয়ানোর জন্য, প্রথমে একটা পরিষ্কার স্টিলের বাটিতে আপনার বুকের দুধ বার করে নিন৷ তার আগে ঐ বাটি জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন৷ তার ফলে কোনো জীবাণু থাকলে ধ্বংস হয়ে যাবে৷ তারপর ঐ বাটিতে আপনার বুকের দুধ টিপে বার করে নিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়ান৷
বোতলের বদলে একটা বাটি ও ঝিনুক ব্যবহার করুন কারণ বোতল পরিষ্কার করা আরো কঠিন এবং এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকবে৷
আপনার শিশুকে কোলে তুলে নিন৷ আলতোভাবে চামচ বা ঝিনুকটা কাত করে ধরুন যাতে তা ওর নিচের ঠোঁট স্পর্শ করে এবং মুখে একটু করে দুধ ঢোকে৷ শীঘ্রই ও নিজে দুধ চেটে নিতে শিখে যাবে৷
এছাড়া আপনার শিশুর প্রচুর উষ্ণতার প্রয়োজন হবে৷ যখন সম্ভব তাকে আপনার আবরণবিহীন বুকে শক্ত করে ধরে রাখুন যাতে ও আপনার শরীরের উষ্ণতা পায়৷ আপনার পোশাকের নিচে আপনার শিশুকে আপনার ত্বক স্পর্শ করে রাখতে পারেন, লক্ষ্য রাখুন ওর মুখ ও নাক যেন ঢেকে না যায়৷
গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাস: সকল খুঁটিনাটি জেনে নিন আজই
ষষ্ঠ মাস - অর্থাৎ আগের পাঁচ পাঁচটি মাস আপনি সুন্দর ভাবে পার করে ফেলেছেন। এখন আপনি সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারের শেষ ভাগে অবস্থান করছেন। আর মাত্র ৩ মাসের অপেক্ষা। তারপরই আপনার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে। আপনার এত কষ্ট, এত অপেক্ষা, এত সতর্কতার মধ্যে দিয়ে যে শিশু জন্ম নিতে চলেছে, সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। তবে এই শেষদিকে এসে যেন কোনো রকম ভুল না হয়, গর্ভবতী মা ও শিশুর যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধায় পরতে না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাসের সাথে সম্পর্কিত সব কিছু নিয়ে আজকের ব্লগে আমরা বিস্তারিত জেনে নেব।
গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাস: সকল খুঁটিনাটি জেনে নিন আজই
ষষ্ঠ মাস - অর্থাৎ আগের পাঁচ পাঁচটি মাস আপনি সুন্দর ভাবে পার করে ফেলেছেন। এখন আপনি সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারের শেষ ভাগে অবস্থান করছেন। আর মাত্র ৩ মাসের অপেক্ষা। তারপরই আপনার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে। আপনার এত কষ্ট, এত অপেক্ষা, এত সতর্কতার মধ্যে দিয়ে যে শিশু জন্ম নিতে চলেছে, সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। তবে এই শেষদিকে এসে যেন কোনো রকম ভুল না হয়, গর্ভবতী মা ও শিশুর যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধায় পরতে না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাসের সাথে সম্পর্কিত সব কিছু নিয়ে আজকের ব্লগে আমরা বিস্তারিত জেনে নেব।
ডক্টর ঐশ্বি তৃষা সৃষ্টি ঢালী
নারী স্বাস্থ্য // Oct 25,2021
ষষ্ঠ মাসে শিশুর বেড়ে ওঠা
যেহেতু এটা ষষ্ঠ মাস, তাই আপনার গর্ভস্থ ছোট্ট শিশুটি এখন আর ততটা ছোট নেই। ৬ মাস বয়স্ক ভ্রূণ আট থেকে বারো ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজন হতে পারে ৮০০ থেকে ১০০০ গ্রাম।
ইতিমধ্যে গর্ভস্থ বাচ্চার ফুসফুস এবং অনন্য আঙুলের ছাপ পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গেছে। ষষ্ঠ মাসে বোনম্যারো বা অস্থি মজ্জা থেকে রক্ত কণিকা তৈরি শুরু হয়। এছাড়াও আইব্রো (ভ্রু) এবং আইল্যাশ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়।
যদিও আটাশ সপ্তাহের আগে 'কিক কাউন্ট' করা হয় না, তবে ছয় মাসের গর্ভবতী মা নিজে নিজেই বাচ্চার নড়াচড়া, বাচ্চার হাত পা ছোড়ার হিসাব রাখতে পারেন। বিশেষ করে যারা এর আগেও গর্ভধারণ করেছেন, তারা এই হিসাবটা ভাল ভাবে করতে পারবেন।
ষষ্ঠ মাসে মায়ের সাধারণ কিছু লক্ষণ ও তার প্রতিকার
১) যদি আপনি গর্ভাবস্থার আগের মাসগুলো নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম গর্ভাবস্থায় হাত ধরাধরি করে চলে। হরমোনের ওঠানামা, স্লো ডাইজেশন, ভিটামিন মিনারেল সাপ্লিমেন্টেশন, বার বার প্রস্রাবের ভয়ে কম কম পানি খাওয়া এসব কারণে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গোলমাল হরদম হয়ে থাকে। একে পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যাবে না তবে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশি বেশি পানি খাওয়া, ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া, অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়া যেতে পারে।
২) প্রথম ট্রাইমেস্টারের প্রধান সমস্যা যদি বমি বমি ভাব, খেতে না পারা, কিছু খেতে গেলেই বমি আসা হয় তবে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া। গর্ভের শিশু যত বড় হয়, ততই তার পুষ্টিচাহিদা বাড়তে থাকে। একজন ছয় মাসের প্রেগনেন্ট মাকে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ খাবার খেতে হয়। অনেক সময় কোনো স্পেসিফিক ধরনের খাবারের জন্য মা অস্বাভাবিক রকম ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই ধরনের 'ক্রেভিং' গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা।
মাকে সাধারণ মাছ, মাংস, ভাত, ডাল, সবজি এসব খাবারই খেতে বলা হয়। তবে খাবারের পরিমাণ প্রেগনেন্সির সময় অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। দুধ এবং অন্যান্য ডেইরি প্রডাক্ট অবশ্যই খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত। এছাড়াও রঙিন ফল বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল প্রতিদিন অন্তত একটা করে খাওয়া উচিত।
আমাদের দেশে বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে খাবার নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, ভালো খাবার মানেই দামী খাবার। বিষয়টা মোটেই সেরকম নয়। যেমন ধরুন, আপেল বেশ দামী একটা ফল। প্রতিদিন গর্ভবতী মাকে ২ টা করে আপেল খাওয়ানো অনেক পরিবারের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ পেয়ারা বেশ সাশ্রয়ী এবং সুস্বাদু একটি ফল। পেয়ারার পুষ্টিগুণ প্রায় আপেলের সমপরিমাণ। এক্ষেত্রে মাকে আপেলের বদলে রোজ একটি করে পেয়ারা খাবার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
৩) পায়ের ফোলা ভাব মায়েদের একটি কমন অভিযোগ। অনেক মায়েরা পায়ের পাশাপাশি হাত, মুখ, চোখের চারপাশ ফুলে যাবার অভিযোগ করে থাকেন। বিশ্রাম নেবার পরে ফোলা ভাব কমে গেলে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবার পরও যদি ফোলাভাব আগের মতই বজায় থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেক সময় গর্ভবতী মা এবং গর্ভবতী মায়ের পরিবার হাত পা ফোলার বিষয়টাকে তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চান না। গ্রাম গঞ্জে স্বাস্থ্য কর্মী এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র পর্যাপ্ত না হওয়ায় অনেক মায়ের 'প্রি একলাম্পসিয়া' ডায়াগনোসিসই হয় না। এর ফলে মা বাচ্চা উভয়ের প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই হঠাৎ করে হাত পা ফুলে গেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত, অন্তত ব্লাড প্রেশারটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেক করা উচিত।
৪) পিঠে এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে ব্যথা হতে পারে। আস্তে আস্তে গর্ভস্থ শিশু বেড়ে উঠসে, বাড়ন্ত গর্ভাশয় মূত্রথলি এবং পেলভিক মাংসপেশির উপর চাপ দিতে থাকে। ফলাফল - পিঠে বিশেষ করে কোমড়ের দিকে প্রচন্ড ব্যথা। ডেলিভারির পর সাধারণত এই ব্যথা কমে যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রে নাও কমতে পারে।
৫) ইনসমনিয়া বা ঘুম না আসা বা ঘুমের অসুবিধা নিয়ে অনেক মা অভিযোগ করে থাকেন। যেহেতু মায়েদের এসময় হরমোন জনিত কিছু সমস্যা হয়ে থাকে এবং বাচ্চা ক্রমাগত নড়াচড়া করতে শুরু করে, তাই মায়েরা ভাল ভাবে ঘুমাতে পারেন না। অথচ একজন গর্ভবতী মায়ের রাতে অন্তত আট ঘন্টা ঘুম এবং দুপুরে অন্তত দুই ঘন্টা বিশ্রাম নেয়া খুবই জরুরি।
অন্যান্য সময়ের অনিদ্রা জনিত সমস্যার থেকে গর্ভাবস্থার সমস্যা গুলি একেবারেই আলাদা। বিশেষ করে এসময় ঘুমের ওষুধের বদলে কিছু কার্যকরী টিপস ফলো করা উচিত। যেমন - রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার খাওয়া, খাবার আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে শুয়ে পড়া, সন্ধ্যার পর মোবাইল, ল্যাপটপ জাতীয় গ্যাজেট পারতপক্ষে এড়িয়ে চলা, ঘুমের আগে বই পড়া, হালকা মিউজিক শোনা কিংবা হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা। মোটকথা, আপনার মন ও শরীরকে প্রশান্তি দিতে যা যা করা জরুরি, সেগুলো করার মাধ্যমে অনিদ্রা জাতীয় সমস্যা দূর করা হয়।
ডাক্তারের কাছে কখন যাবেন? কেন যাবেন?
প্রথমেই কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত সেই কথায় আসি -
ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং বা যোনি পথে রক্তপাত হলে
লিকেজ অর্থাৎ পানি ভেঙে গেছে এমন মনে হলে
প্রস্রাবে কষ্ট অথবা প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রমণের অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দিলে
অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় জ্বর হলে
ক্রমাগত বমি বা ডায়রিয়া হলে
বাচ্চার নড়াচড়া হঠাৎ আগের চেয়ে কমে গেলে
প্রচন্ড মাথাব্যথা হলে
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?