৭ মার্চের ভাষণ সর্বশেষ কোন ভাষায় অনূদিত হয়
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে ৭ মার্চের ভাষণ সর্বশেষ কোন ভাষায় অনূদিত হয় পান।
সাতই মার্চের ভাষণ
সাতই মার্চের ভাষণ
স্থানাঙ্ক: ২৩.৭৩৩০৬৬° উত্তর ৯০.৩৯৮৪৩৭° পূর্ব
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
৭ই মার্চের ভাষণ
৭ই মার্চে রেসকোর্সে ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান
তারিখ ৭ মার্চ ১৯৭১
সময় ২:৪৫ অপরাহ্ন — ৩:০৩ অপরাহ্ন
ভেন্যু রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান), পূর্ব পাকিস্তান
অবস্থান রমনা, ঢাকা
স্থানাঙ্ক ২৩.৭৩৩০৬৬° উত্তর ৯০.৩৯৮৪৩৭° পূর্ব
ধরন ভাষণ
স্বীকৃতি বিশ্ব স্মৃতির আন্তর্জাতিক নিবন্ধন
সাতই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি উক্ত ভাষণ বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে শেষ করেন। উক্ত ভাষণ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়।[১]এই ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা।[১] ১৩টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়। ১৩ তম হিসাবে মাহাতো নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর কুড়মালি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়, যা নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভাষায় ১ম অনুবাদ।[২] ম্যাগাজিন শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে উল্লেখ করে।[] ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৩]
পটভূমি
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে-কোনভাবে ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১লা মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন। এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়; পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।[৪]
ভাষণ
বাংলা ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে:
তিনি ভাষণে কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা করেন:
সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা
পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিকদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত
সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো
অত্যাচার ও সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য বাঙালিদের আহ্বান জানানো
দাবী আদায় না-হওয়া পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে সার্বিক হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান
নিগ্রহ ও আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান এবং বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করা
ভাষণ রেকর্ড
পাকিস্তান সরকার ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ভাষণটি প্রচার করার অনুমতি দেয় নি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তৎকালীন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম সালাহউদ্দিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার পাঁচ আসনে সংসদ সদস্য এম আবুল খায়ের ভাষণটি ধারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাদের এ কাজে সাহায্য করেন তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চলচ্চিত্র বিভাগের চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা আবুল খায়ের, যিনি ভাষণের ভিডিও ধারণ করেন। তাদের সঙ্গে তৎকালীন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তিবিদ এইচ এন খোন্দকার ভাষণের অডিও রেকর্ড করেন।[৫]
অডিও রেকর্ডটি এম আবুল খায়েরের মালিকানাধীন রেকর্ড লেবেল বিকশিত এবং আর্কাইভ করা হয়। পরে, অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের একটি অনুলিপি শেখ মুজিবকে হস্তান্তর করা হয় এবং অডিওর একটি অনুলিপি ভারতে পাঠানো হয়। সেই সাথে অডিওর ৩০০০ অনুলিপি করে তা সারা বিশ্বে ভারতীয় রেকর্ড লেবেল এইচএমভি রেকর্ডস দ্বারা বিতরণ করা হয়।[৫]
স্বীকৃতি ও প্রতিক্রিয়া
২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবরে ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে "ডকুমেন্টারি হেরিটেজ" (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই ভাষণটি সহ মোট ৭৭ টি গুরুত্বপূর্ণ নথিকে একইসাথে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কো পুরো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দলিলকে সংরক্ষিত করে থাকে। ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে (এমওডব্লিউ) ’ ৭ মার্চের ভাষণসহ এখন পর্যন্ত ৪২৭ টি গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগৃহীত হয়েছে।[৬]
এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে ‘ইতিহাসের প্রতিশোধ’ হিসেবে তুলনা করেছেন। কারণ স্বাধীন দেশে দীর্ঘসময় এই ভাষণের প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।[৭]
শাবিপ্রবির শিক্ষক জাফর ইকবাল প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
বঙ্গবন্ধু নয় বরং ইউনেস্কোই এই ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত হয়েছে। কারণ এখন তাদের কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণটি আছে, এমনটা তারা বলতে পারবে।[৮]
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সচিবালয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
"শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ওই ভাষণ দিয়েছিলেন। একদিকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, অন্যদিকে তাকে যেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিহিত করা না হয়, সেদিকেও তাঁর সতর্ক দৃষ্টি ছিল। তিনি পাকিস্তান ভাঙার দায়িত্ব নেননি। তার এই সতর্ক কৌশলের কারণেই ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই জনসভার ওপর হামলা করার প্রস্তুতি নিলেও তা করতে পারেনি।
ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ২২ ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ
‘আজি নুংসি নুপাং মনহান্ন আপনাগাছির মুঙে আহিলু। আপনাগাছি হাবিয়ৌ হারপারাইতা বারো বুঝরাইতা।’ এ দুটি বাক্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের ভাষায় লেখা। এর অর্থ স্বভাবতই বাংলাভাষী তো বটেই, দেশের অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছেও বোধগম্য হওয়ার কথা নয়। তবে বাক্য দুটি বাংলায় লিখলে সহজেই বোঝা যাবে।
বাংলাদেশ
ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ২২ ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ
পার্থ শঙ্কর সাহাঢাকা
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২২, ০২: ০০
রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
‘আজি নুংসি নুপাং মনহান্ন আপনাগাছির মুঙে আহিলু। আপনাগাছি হাবিয়ৌ হারপারাইতা বারো বুঝরাইতা।’ এ দুটি বাক্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের ভাষায় লেখা। এর অর্থ স্বভাবতই বাংলাভাষী তো বটেই, দেশের অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছেও বোধগম্য হওয়ার কথা নয়। তবে বাক্য দুটি বাংলায় লিখলে সহজেই বোঝা যাবে। কারণ এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের সেই অমর ভাষণটির শুরুর দুই বাক্য। তা হলো, ‘আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন, সবই বোঝেন।’
শুধু বিষ্ণুপ্রিয়াদের ভাষায় নয়, দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২২টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদ হয়েছে। এ কাজ করেছে আন্তর্জাতিক সংগঠন সামার ইনস্টিটিউট অব লিঙ্গুইস্টিকস (সিল)। আজ মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলায় এ ভাষণসংবলিত একটি বইয়ের প্রকাশনা হবে। দেশে এতগুলো জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের অনুবাদ এই প্রথম।
যে ২২টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদ হয়েছে, সেগুলো হলো বম, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, চাকমা, গারো, হাজং, খাসি, খিয়াং, কোচ, কোল, লুসাই, মাহালে, মেইতে মণিপুরি, ম্রো, মুন্ডা, ওঁরাও কুরুখ, ওঁরাও সাদ্রি, পাহাড়ি, পাংখোয়া, সাঁওতাল, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা ও কোডা। সংখ্যায় বেশি বা পরিচিত চাকমা, গারো, সাঁওতাল ভাষার পাশাপাশি সংখ্যা একেবারে কম পাংখোয় এবং কোডাদের ভাষায় এ ভাষণ অনুবাদ হয়েছে।
এ উদ্যোগকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে কাজ করা উচিত ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই, তা করা হলো স্বাধীনতার ৫০ বছর পর। কিন্তু যত দেরিই হোক, এর মাধ্যমে দেশের বাংলাভাষী নন, এমন জাতির মানুষের কাছে আমাদের দায় কিছুটা হলেও শোধ হলো।’
ইউনেসকোর একটি উপদেষ্টা কমিটি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ২০১৭ সালে। সামার ইনস্টিটিউট অব লিঙ্গুইস্টিকস (সিল) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষার সুরক্ষায় গবেষণার কাজ করে। বিশেষ করে যেসব ভাষা বিপন্ন, সেগুলোর প্রয়োজনমতো বর্ণমালা বা ব্যাকরণ তৈরির কাজও করে প্রতিষ্ঠানটি।
২২ ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রকাশের কারণ প্রসঙ্গে সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর কর্নেলিয়াস টুডু প্রথম আলোকে বললেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ আমাদের কাছে গর্ব আর সাহসের দলিল। বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষ নিজেদের ভাষায় এসব সাহসী উচ্চারণ করবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। দ্বিতীয় বিষয় হলো, এসব মানুষ তাদের নিজের ভাষার গুরুত্ব খুঁজে পাবে। তারাও যে জাতীয় উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের, এটা ভেবে তারা গর্ব অনুভব করবে।’
এর আগে ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি প্রধান জাতিসত্তা চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল। গতকাল সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এর কাজ এখনো শেষ হয়নি।
সিল এ কাজ শুরু করেছিল এক বছর আগে। এক বছর সময় লেগেছে ২২ ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করতে। তাদের লক্ষ্য সরকার স্বীকৃত দেশের ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষাতেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদ করা। তবে এ দফায় ২২টি ভাষায় করার কারণ প্রসঙ্গে সিলের কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ) ডনি গোমেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে আমাদের কাজের সুযোগ হয়নি এখনো। আবার সব ভাষার লিখিত রূপ নেই। আরও যোগাযোগ সৃষ্টি করে এবং লিখিত রূপ তৈরি করে আমরা সব কটি ভাষাতেই ভাষণটি প্রকাশের ব্যবস্থা করব।’
সিল এ ভাষণ অনুবাদের কাজ করেছে এসব জাতির মানুষের সহায়তায়। প্রতিটি জাতির একেকজন তাঁর ভাষার অনুবাদ করেছেন। তবে অনুবাদ করতে তাঁরা নিজ ভাষার একাধিক লোককে তা দেখিয়ে নিয়েছেন বলে জানান ভাষণটি বম ভাষায় অনুবাদকারী ভাননুনসিয়াম বম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জাতির প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছি যাতে কোনো ভুল না থাকে।’
সিলের এ কাজ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিকেও দেওয়া হবে বলে জানান সিলের গবেষণা সমন্বয়ক মাইফুল আরা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ভাষণ যেসব জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে ১০টি করে কপি দেওয়া হবে। আর এ ভাষণকে আমরা শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করব।’
বাংলাদেশ থেকে আরও পড়ুন
বিশেষ সংবাদমুক্তিযুদ্ধবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৭ মার্চ
মন্তব্য করুন
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও পড়ুন
সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নবীন প্রজন্মের মুক্তির উৎসব
যাঁরা জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন, তাঁদের ছাড়াই পতাকা উত্তোলন দিবস উদ্যাপন
গণহত্যার শহর পেছনে ফেলে
শহীদ জোহা দিবস জাতীয়ভাবে পালিত হওয়া উচিত: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?